ফেরাউনের পতন হয়েছিল যেভাবে
আপনি কি কখনো দেখেছেন এমন একজন মানুষ,
যিনি নিজেকে খোদা বলে দাবি করে?
যিনি বলেন— “আমি তোমাদের সবচেয়ে বড় প্রভু”?
এক সময়ের পৃথিবী কাঁপানো শাসক—
ফেরাউন,
যার রাজত্ব ছিল, কিন্তু তার হৃদয়ে ছিল না কোনো মানবতা।
আজ আমরা জানবো সেই অবিশ্বাস্য পতনের গল্প—
যা কেবল ইতিহাস নয়, বরং প্রতিটি অহংকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
📢 আপনি শুনছেন Ummah Kantho—
যেখানে ইতিহাসের পাতায় লেখা গল্পগুলোকে
আমরা জীবন্ত করে তুলি,
তথ্যনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি ও ঈমানী হৃদয়ের আলোতে।
আমাদের লক্ষ্য একটাই:
আল্লাহর বান্দাদের সচেতন করা,
সত্য ও শিক্ষা তুলে ধরা,
যাতে আমরা নিজেরাই পথ না হারাই।
ফেরাউনের নামটি আজও মানুষ ভুলে যায়নি।
সে ছিল মিসরের সবচেয়ে প্রভাবশালী শাসক,
যার হাতে ছিল অর্থ, বাহিনী, সিংহাসন—
কিন্তু যার হৃদয়ে ছিল না বিনয়,
ছিল না আল্লাহর ভয়।
আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,
“নিশ্চয়ই ফিরআউন পৃথিবীতে ঊর্ধ্বে উঠেছিল এবং এর জনগণকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছিল। সে তাদের একদলকে দুর্বল করে রেখেছিল, তাদের সন্তানদের হত্যা করত এবং নারীদের জীবিত রাখত। সে ছিল এক চরম ফাসাদকারী।”
— সূরা আল-কাসাস (২৮:৪)
এই ছিল ফেরাউনের রাজনীতি—
ভয় দেখিয়ে শাসন,
দমন করে রাজত্ব।
তাঁর চোখে কোনো অসহায় মানুষের মূল্য ছিল না,
সে চেয়েছিল মানুষ কেবল তাকে সিজদাহ করুক।
কিন্তু আল্লাহ কোনো জুলুমকে চিরস্থায়ী করেন না।
যখন একটি জাতি জুলুম করে,
আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দেন—
তাদের রাজত্বকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন।
আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আ.)-কে পাঠালেন ফেরাউনের কাছে,
সত্য ও তাওহীদের দাওয়াহ নিয়ে।
মূসা (আ.) বললেন,
“হে ফিরআউন, নিশ্চয়ই আমি জাহানের প্রতিপালকের একজন প্রেরিত।”
— সূরা আশ-শুআরা (২৬:১৬)
কিন্তু ফেরাউন সেই আহ্বানে বিনয় দেখায়নি।
বরং সে বলল—
“আমি তো তোমাদের মহান রব।”
— সূরা আন-নাযিয়াত (৭৯:২৪)
এই অহংকারের চূড়ান্ত রূপ ছিল এই দাবী।
সে আল্লাহকে অস্বীকার করল,
নিজেকে প্রভু ঘোষণা করল।
এবং এখান থেকেই শুরু হলো তার পতনের পথ।
ফেরাউনের পতন শুরু হয়েছিল তার অহংকার থেকে।
সে মনে করেছিল তার জলপথও তাকে রক্ষা করবে,
তার সৈন্যবাহিনী, তার গোলামরা তাকে রক্ষা করবে—
কিন্তু সে জানত না,
যে আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন,
তিনিই তার ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
এই পৃথিবীতে এমন বহু শাসক এসেছে,
যারা মনে করেছে তারা অমর।
তারা ভেবেছে, তারা যা খুশি তাই করতে পারবে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—
আল্লাহ কাউকে ছেড়ে দেন না।
যখন জুলুম সীমা ছাড়ায়,
তখন তিনি নিজেই বিচার করেন।
📌 ইনশাআল্লাহ, ২য় পর্বে আমরা জানবো—
ফেরাউনের কীভাবে পতন শুরু হয়,
মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের কীভাবে আল্লাহ সাহায্য করেন,
এবং কীভাবে এক রাতেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজত্ব
সমুদ্রের গহ্বরে ডুবে যায়।
থাকুন Ummah Kantho-র সাথে।
এখানে আমরা ইতিহাস শুধু বলি না—
আমরা সত্যকে হৃদয়ে ধারণ করি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন