সর্বশেষ আপডেট

প্রযুক্তি বনাম হালাল-হারাম দৃষ্টিভঙ্গি | ইসলাম কী বলে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে?

 প্রযুক্তি বনাম হালাল-হারাম দৃষ্টিভঙ্গি


ধরুন, আপনি গভীর রাতে একটি ভিডিও দেখছেন…

অসচেতনভাবে আঙুল চলে যাচ্ছে স্ক্রলের পর স্ক্রলে।
কোথাও অশ্লীলতা, কোথাও গিবত, কোথাও শিরক-মিশ্রিত গানে আপনি লাইক দিচ্ছেন—
অথচ আপনারই সামনে রাখা মোবাইলের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লোকেশন সব রেকর্ড করছে।

না, শুধু ফোন না—
আপনার কৃতকর্মের সব কিছু লিখে নিচ্ছেন দুইজন ফেরেশতা।

তাদের কোনো ব্যাকস্পেস নেই, কোনো ডিলিট নেই।
একটি ভিডিও দেখে আপনি হাসলেন—
আল্লাহ আকাশের ফেরেশতাদের দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন:
"তোমার হাসি কী আমার অসন্তুষ্টিতে?"


আপনারা শুনছেন Ummah Kantho…
আমরা কণ্ঠ দিই সেই জায়গায়,
যেখানে মানুষ চুপ করে যায়,
যেখানে প্রযুক্তির মুখে মুখে ঘুরতে থাকা একটি তরুণ আত্মার ফিসফিসি থাকে—
"আমি হালাল-হারামের সীমা বুঝতে পারছি না… আমার স্ক্রিন কি আমার ঈমান কেড়ে নিচ্ছে?"

চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন,
যাতে আপনি প্রতিদিন নতুন কোনো সত্যের দরজায় নিজেকে আবিষ্কার করতে পারেন।
আর আমাদের Facebook পেজেও যুক্ত থাকুন,
এই সফরটা একা হোক না— আল্লাহর পথে আমরা একসাথেই চলি।


আজকের বিষয়—
প্রযুক্তি বনাম হালাল-হারাম দৃষ্টিভঙ্গি।

প্রযুক্তি—
একটি তরবারির মতো।
যার একটি দিক আলো জ্বালায়,
আরেকটি দিক অন্ধকার করে দেয়।

আল্লাহ আপনাকে এই অস্ত্র দিয়েছেন—
কিন্তু আপনি কোথায় তা চালাচ্ছেন?


কুরআনে আল্লাহ বলেন:

📖 "নিশ্চয়ই কান, চোখ, হৃদয়— এসবের প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।"
📚 সূরা বনি ইসরাইল: আয়াত ৩৬

এই আয়াত শুধু চোখ কান নয়—
আজকের দিনে এটা ফোন, ইন্টারনেট, অ্যাপ, ব্রাউজারের ইতিহাস, ইউটিউব ওয়াচ হিস্ট্রি—
সব কিছুর হিসাব।


অনেকে প্রশ্ন করেন—
"প্রযুক্তি কি হারাম?"
না!
প্রযুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষামূলক নিয়ামত।

আল্লাহ বলেন:

📖 "তিনিই সৃষ্টি করেছেন যা তোমাদের জন্য উপকারী,
আর তা দিয়েই তিনি তোমাদের পরীক্ষা করেন— কে কৃতজ্ঞ, কে অকৃতজ্ঞ।"

📚 সূরা আনআম: আয়াত ১৬৫

তাহলে প্রযুক্তি কৃতজ্ঞতাসহ ব্যবহারের মাধ্যম হতে পারে জান্নাতের পথে,
আর না-শুকরীর ও গুনাহের মাধ্যমে হতে পারে জাহান্নামের দিকে টেনে নেওয়া রশি।


আসুন বাস্তব চিত্রে যাই…

▶ মোবাইলের স্ক্রিন দিয়ে যদি আপনি কুরআন তিলাওয়াত শোনেন—
এই স্ক্রিন জান্নাতে সাক্ষী দেবে।

▶ এই স্ক্রিন দিয়ে যদি আপনি অশ্লীলতা দেখেন—
এই স্ক্রিনই কিয়ামতে সাক্ষী দেবে আপনার বিপক্ষে।


প্রযুক্তির ব্যবহার নির্ধারণ করে আপনার নিয়তি।

❌ আপনি হয়তো বলেন— “সবাই করে”
কিন্তু কুরআন বলে:

📖 "যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশের অনুসরণ করো,
তবে তারা তোমাকে সত্য থেকে বিচ্যুত করবে।"

📚 সূরা আনআম: আয়াত ১১৬

এখানে "সত্য থেকে বিচ্যুত" মানে হতে পারে—
যখন আপনি হালাল-হারামের সীমা ভুলে
“ভিউ”, “লাইক”, “শেয়ার”, “ট্রেন্ড”—এই শব্দগুলোকেই নিজের ধর্ম বানিয়ে ফেলেন।


আল্লাহ কেয়ামতের দিন জিজ্ঞেস করবেন:
"তুমি কোথায় সময় ব্যয় করলে? কী দেখে মুগ্ধ হলে? কিসে তুমি হাসলে আর কিসে কাঁদলে?"

সেই উত্তর আপনি আজ মোবাইলে দিয়ে ফেলছেন।


প্রিয় শ্রোতা,
আজ আপনি একটি সিদ্ধান্ত নিন—
আপনার প্রযুক্তি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে?

আপনি চাইলে প্রযুক্তিকে বানাতে পারেন:

✅ এক দোয়ার মাধ্যম
✅ এক তাওবার সহচর
✅ এক জ্ঞান অর্জনের দরজা
✅ এক সিজদার আহ্বায়ক


প্রযুক্তি নিজে কোনো গুনাহ করে না।
কিন্তু প্রযুক্তির পেছনে থাকা মানুষ—
তাকে জান্নাতের সোপান বানায়,
বা জাহান্নামের ফাঁদ।

আজকের পর্বে আমরা জানবো—
প্রযুক্তির এমন কিছু ব্যবহার যা সরাসরি হারাম,
কিছু শর্তসাপেক্ষে বৈধ,
আর কিছু স্পষ্ট হালাল ও সওয়াবের মাধ্যম


প্রথমেই মনে রাখা দরকার—
প্রযুক্তি ইসলাম বিরোধী নয়।
ইসলাম প্রযুক্তিকে নিরপেক্ষ হিসাবে দেখে।
হালাল-হারাম নির্ধারিত হয় এর ব্যবহার ও উদ্দেশ্যের উপর

📖 আল্লাহ বলেন:
"তিনিই সৃষ্টি করেছেন যা কিছু তোমাদের জন্য উপকারী,
আর তা দিয়েই তিনি তোমাদের পরীক্ষা করেন—
কে কৃতজ্ঞ, আর কে অকৃতজ্ঞ।"

📚 সূরা আনআম: আয়াত ১৬৫

এই “পরীক্ষা” হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহারে হালাল-হারামের সীমানা


✅ প্রযুক্তির হারাম ব্যবহার – যা সরাসরি গুনাহ:

অশ্লীল কন্টেন্ট দেখা বা প্রচার করা
→ কুরআন বলে:
"তারা যারা অশ্লীলতা ছড়াতে চায়, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।"
📚 সূরা নূর: আয়াত ১৯

গিবত, চোগলখুরি, ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও বানানো
→ রাসূল ﷺ বলেন:
“তোমার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা যা সে অপছন্দ করে—
এটাই গিবত।”

📚 (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮৯)

জাল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো
→ আল্লাহ বলেন:
"যা তুমি জানো না তা অনুসরণ করো না,
কারণ চোখ, কান ও হৃদয়— সবকিছুর হিসাব নেয়া হবে।"

📚 সূরা বনি ইসরাইল: আয়াত ৩৬

শিরক, কুফরি, ঝাড়ফুঁক, কু-অভ্যাস বা তন্ত্র-মন্ত্র সংক্রান্ত অ্যাপ বা ভিডিও
→ এগুলো ঈমান নষ্টকারী।
→ রাসূল ﷺ বলেন:
“যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর কাছে যায় এবং তার কথা বিশ্বাস করে,
সে মুহাম্মদ ﷺ-এর উপর যা নাজিল হয়েছে তা অস্বীকার করে।”

📚 (আবু দাউদ, হাদীস ৩৯০৪)


⚠️ প্রযুক্তির এমন কিছু ব্যবহার আছে যা শর্তসাপেক্ষে বৈধ:

⚠️ খেলাধুলা, বিনোদনমূলক ভিডিও, শর্টস দেখা
→ যদি তাতে অশ্লীলতা, ব্যঙ্গ, গিবত না থাকে
→ যদি তা সময় নষ্ট না করে এবং ফরজ দায়িত্ব বাদ না দেয়
→ তাহলেই তা মুবাহ বা হালাল হয়

⚠️ সোশ্যাল মিডিয়া চালানো
→ যদি আপনি সময় ও ভাষার নিয়ন্ত্রণে থাকেন
→ যদি তা গুনাহে না নিয়ে যায়
→ আর নিজের ঈমান, নামায, পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে

⚠️ ইনফোটেইনমেন্ট বা জ্ঞানভিত্তিক ভিডিও
→ অনেক ইউটিউব চ্যানেল ও অ্যাপ আছে যারা আধা-ইসলামিক তত্ত্ব ছড়ায়
→ এমন ভিডিও দেখে ঈমান বিভ্রান্ত হতে পারে
→ এসব ক্ষেত্রে যাচাই না করে গ্রহণ করা মারাত্মক


✅ প্রযুক্তির হালাল ও সওয়াবের ব্যবহারের কিছু দৃষ্টান্ত:

কুরআন তিলাওয়াত শোনা বা শেখা
→ কুরআনের শব্দ মোবাইল দিয়ে শ্রবণ—
এটি ফেরেশতাদের রেজিস্টারে সওয়াব হিসেবে লিখিত হয়।

হাদীস শেখা, ফিকহ বোঝা, ইসলামি বক্তৃতা শোনা
→ রাসূল ﷺ বলেন:
“যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য পথে বের হয়,
আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।”

📚 (তিরমিযি, হাদীস ২৬৪৬)

ইসলাম প্রচারমূলক পোস্ট/ভিডিও বানানো ও শেয়ার করা
→ আজকের যুগে একটি সঠিক কুরআনের আয়াত বা হাদীস
কারো জীবন বদলে দিতে পারে।

দোয়ার ভিডিও, নামায শেখার অ্যাপ, ক্বিবলা নির্দেশিকা ইত্যাদি
→ এসব প্রযুক্তি ব্যবহার শুধু বৈধ নয়— বরং সওয়াবপূর্ণ।


🟢 আপনার ফোনের স্ক্রিন দিনে ৭ ঘণ্টা জ্বলছে?
সেই স্ক্রিন যদি আপনার জান্নাতের জন্য সাক্ষী না হয়—
তাহলে সেটিই কিয়ামতের দিন আপনার গুনাহের তালিকায় হবে আগুনের প্রমাণ।

📖 আল্লাহ বলেন:
"যে কেউ একটি অণু পরিমাণ ভালো কাজ করে,
সে তা দেখতে পাবে;
আর যে কেউ একটি অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করে,
তাও দেখতে পাবে।"

📚 সূরা যিলযাল: আয়াত ৭–৮


আজ আপনার ভিডিও ওয়াচ হিস্টরি,
আপনার ফলো করা অ্যাকাউন্ট,
আপনার শেয়ার করা কন্টেন্ট—
সবকিছু লিখিত হচ্ছে।

আল্লাহর ফেরেশতা কোনো ডিলিট বোতাম চাপেন না।

আমরা আজ এমন এক যুগে বাস করছি,
যেখানে প্রযুক্তি যেন দুনিয়ার দ্বিতীয় বাতাস।
জেগে ওঠার পর প্রথমে ফোন,
ঘুমাতে যাওয়ার আগে শেষ দেখাও ফোন।
আলোর মতোই এটি—
নিয়ন্ত্রণে থাকলে জীবন আলোকিত করে,
আর নিয়ন্ত্রণ হারালে তা পুড়িয়ে দেয় ভিতরের ঈমান।


একজন মুসলমান হিসেবে প্রশ্ন উঠতেই পারে—
আমার প্রযুক্তি-ব্যবহার কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে সহায়ক?
নাকি আমার নিজের অজান্তেই হারামে নিমজ্জিত হওয়ার এক নীরব মাধ্যম?

আজকের পর্বে আমরা ইন শা আল্লাহ জানবো—
কীভাবে আমরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবো
আল্লাহর ভয়, তাওবা ও ঈমানের আলোতে।
আর প্রযুক্তিকে দ্বীনের বাহনে রূপান্তর করবো।


📖 আল্লাহ বলেন:
"হে দাঈনগণ! তোমরা মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকো হিকমত ও উত্তম উপদেশ দ্বারা।"
📚 সূরা নাহল: আয়াত ১২৫

এটা শুধু মিম্বার বা মসজিদের কথা নয়—
এটা সেই স্ক্রিন, সেই কনটেন্ট, সেই পোস্ট, সেই ভিডিও—
যার মাধ্যমে একজন মানুষ হিদায়াতের আলো খুঁজে পায়।

তাই প্রযুক্তিকে এক বাতিল প্ল্যাটফর্ম ভাবার দরকার নেই,
বরং এক ইমানদার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে
এই প্ল্যাটফর্মকে হালাল কাজে লাগানোই হবে প্রকৃত দায়িত্বশীলতার পরিচয়।


✅ করণীয় – একজন মুসলমানের প্রযুক্তি ব্যবহারে হালাল চর্চা:

🔸 নিয়মিত আত্মজিজ্ঞাসা:
– "এই স্ক্রিনে যা দেখছি, শুনছি— তা কি আমার কিয়ামতের খাতায় গুনাহ হয়ে লিখিত হচ্ছে?"
– "এই ভিডিও, এই শেয়ার, এই কমেন্ট… আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন তো?"

🔸 কন্টেন্ট ফিল্টার করুন:
– কোন পেজ, চ্যানেল, অ্যাপ আপনাকে ঈমানহীনতায় নিচ্ছে— তা বাদ দিন।
– কুরআন, হাদীস, দোয়ার, তাফসিরের চ্যানেল ফলো করুন।

🔸 সময় নির্ধারণ করে প্রযুক্তি ব্যবহার করুন:
– ফজরের পর থেকে রাত পর্যন্ত— কোন সময় কিভাবে কাটাচ্ছেন, তা ট্র্যাক করুন।

🔸 স্ক্রিন টাইম হালাল বানান:
– ইউটিউব দেখছেন? জান্নাতের আলোচনা শোনুন।
– ফেসবুকে স্ক্রল করছেন? ইসলামিক পোস্ট শেয়ার করুন।
– টাইপ করছেন? দোয়ার লাইন লিখে পোস্ট করুন।


রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি একটি ভালো দিক নির্দেশনা প্রচার করে,
তাকে সেই আমলের সওয়াব দেয়া হয়,
এবং যারা তার মাধ্যমে আমল করে,
তাদের সবার সওয়াবও তার আমলনামায় লেখা হয়।”

📚 (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৭৪)

তাহলে প্রযুক্তি হয়ে গেল এক সওয়াবের নদী—
শর্ত একটাই:
কী নিয়ে, কাকে নিয়ে, কেমনভাবে আপনি তা ছড়াচ্ছেন।


📖 আল্লাহ বলেন:
"তোমাদের হাত যা করেছে, তার কারণে বিপদ আসে।
তবে আমি অনেক কিছু ক্ষমা করে দেই।"

📚 সূরা শূরা: আয়াত ৩০

তাহলে যদি কেউ প্রযুক্তি ব্যবহারে ভুল করে থাকেন—
দেখেছেন অশ্লীলতা, ছড়িয়েছেন গিবত, হয়েছেন বিভ্রান্ত…

তাওবার দরজা এখনো খোলা।


আজ একটিমাত্র তাওবা,
একটি নিঃশ্বাসভরা অনুতাপ,
একটি কান্নাভেজা সিজদা
এই স্ক্রিন-নির্ভর জীবনকে
জান্নাতমুখী বানাতে পারে।

রাসূল ﷺ বলেন:
“যে ব্যক্তি তাওবা করে,
সে এমন হয়ে যায় যেন সে কোনোদিনই গুনাহ করেনি।”

📚 (ইবনু মাজাহ, হাদীস ৪২৫০)


📌 আমাদের করণীয়:

✅ আল্লাহকে ভয় রেখে স্ক্রিনে সময় কাটানো
✅ হালাল কন্টেন্ট প্রচারে অংশগ্রহণ
✅ হারাম কন্টেন্ট থেকে নিজেকে, পরিবারকে রক্ষা
✅ প্রযুক্তিকে ঈমানবর্ধক কাজে ব্যবহার
✅ অন্যদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য স্ক্রিনকে কাজে লাগানো


আজ যদি আপনি একটি আয়াতের ছবি শেয়ার করেন,
একটি দোয়ার ভিডিও বানান,
একটি হাদীস পোস্ট করেন—
হয়তো তা কারো হৃদয়ে আলো ছড়াবে,
আর কিয়ামতের দিন সেই আলো আপনাকে শাফায়াত দেবে।


প্রিয় শ্রোতা,

প্রযুক্তি আপনার শত্রু নয়,
তবে তা আপনার ঈমানের শত্রু হয়ে উঠতে পারে—
যদি আপনি সীমা না আঁকেন,
যদি আপনি আল্লাহকে না ভয় করেন,
যদি আপনি দুনিয়াকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেন।


আল্লাহর দরবারে আমরা আজ শুধু এই দোয়াটি করতে পারি—

"হে আল্লাহ,
আপনি আমাদের চোখ, কান, আঙুল, স্ক্রিন—
সবকিছু হালাল কাজে ব্যবহার করার তাওফিক দিন।
যেখানে অন্যরা হারামে ডুবে,
সেখানে আমরা আপনার সন্তুষ্টির পথে প্রযুক্তিকে নিয়ে আসি।
আপনি আমাদের ক্ষমা করুন,
আর প্রযুক্তিকে আমাদের জান্নাতের বাহন করে দিন।"

আমিন, ইয়া হাদী, ইয়া রহীম।


🎧 যদি এই কথাগুলো আপনার হৃদয়ে স্পর্শ করে,
তাহলে আমাদের Ummah Kantho চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন,
আর আমাদের Facebook পেজেও যুক্ত থাকুন,
কারণ আমরা চেষ্টা করি সত্য ও আলোকে একত্রে ছড়িয়ে দিতে—
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন